প্যারাসেইলিং করে পাখি হয়ে সমুদ্রের উপর উড়ে বেড়ানো
https://youtu.be/PVFxQuazmD0
খুব সকালে রওনা হলাম পরিবারের সাথে। উদ্দেশ্য মহেশখালি ভ্রমন।
মহেশখালির গল্প অন্যদিন বলব সময় করে।
মহেশখালি দুপর পর্যন্ত ঘুরে ঘড়িতে যখন বেলা ১২.৩০, আমাদের গাইড জানাল প্যারাসেইলিং কনফার্ম হয়েছে। রওনা হলাম আমরা, এবারের গন্তব্য আমাদের রিসোর্ট এবং কাপড় পরিবর্তন করে প্যারাসেইলিং এ যাওয়া।
পরিশেষে পৌঁছে গেলাম বহুল কাঙ্ক্ষিত প্যারাসেইলিং পয়েন্ট এ।
অনেক ফরমালিটিসের পর এবার আমার পালা এলো আকাশ ভ্রমনের।
ভাবতে ই মজা লাগছে, আমি আজ পাখি হব !!!!!!!!!!!!!
রক্তচাপ পরীক্ষার পর লাইফ জ্যাকেট পরানো হলো আমাকে। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা প্যারাস্যুটের দড়ি ধরে দৌড়ে এলেন একজন। রংধনু রঙের বিশাল প্যারাস্যুটের বেল্ট কোমরে বেঁধে দেওয়া হলো এবং ওদের একজন আমাকে ইন্সট্রাকসান দিল কখন কি পরিস্থিতি হলে কি করতে হবে। এরপর স্পিডবোট ছুটতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে উড়ে গেলাম। নিচে থেকে আমার ক্যামেরা ম্যান এবং আমার স্বামী ভিডিও করছিল আর ছবি তুলছিল আমার।
বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি সমুদ্র সৈকতের অন্যতম আকর্ষণীয় রাইড হলো প্যারাসেইলিং। পাখির দৃষ্টিতে সমুদ্রের উপর দিয়ে দেখা যাবে প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে। গাঙচিলের মতো উড়ে উড়ে সমুদ্রও দেখার জন্য প্যারাসেইলিংয়ের জুড়ি নেই। একটি প্যারাসুট আর স্পীড বোটের মাধ্যমে এটি করা হয়। প্যারাসুটের মাধ্যমে আপনাকে উড়িয়ে দেওয়া হবে আর ঐ প্যারাসুটের দড়ি বাঁধা থাকে স্পীড বোটে।
এই দুইয়ের সমন্বয়ে কয়েক মিনিটের জন্য পাখি হয়ে আপনি সমুদ্রের উপর ভেসে থাকতে পারেবেন। অনেকটা ঘুড়ি এবং নাটাইয়ের মতো। ঘুড়ি হাতে নিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যেমন উঠানের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত দৌড়ান হয় ঠিক তেমনই স্পীড বোটের মাধ্যমে এক পাশ থেকে আরেক পাশে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তবে এর নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও পরবর্তীতে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে সেই সন্দেহ দূর হয়েছে।
<meta property="fb:pages" content="321053228471608" />
বিশাল সমুদ্রসৈকতে উড়ছে প্যারাস্যুট। দ্রুতগতির স্পিডবোট টানছে প্যারাস্যুটি। মাত্র ১৫ মিনিটের এই আয়োজনকে নিরাপদ ও আনন্দময় করে তুলতে সদা ব্যস্ত ফান ফেস্টের কর্মীরা। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেল ১২ থেকে ৬০ বছর বয়সের যেকোনো সুস্থ মানুষ প্যারাসেইলিং করে আকাশে ওড়ার স্বাদ নিতে পারে। এ জন্য খরচ হবে মাত্র আড়াই হাজার টাকা। তবে উচ্চ রক্তচাপে আছে এমন কারও জন্য নিরাপদ নয় এই খেলা। এ জন্য আকাশে ওড়ার আগে রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
বিশাল আকাশ ঘুরে আসার পর আমার স্বামী আমাকে জিজ্ঞেস করছিল কেমন লাগল। আমি উত্তরে বললাম, জীবনের প্রথম পাখি হওার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আমার আল্লাহকে এবং আমার স্বামীকে, সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বেশ মজা পেলাম। সবচেয়ে বেশি মজা পাই সমুদ্রের মাঝখানে গিয়ে। প্রায় ৪০০ ফুট উঁচু আকাশ থেকে সমুদ্র আর পাহাড় দেখার মজাই আলাদা, নৌকাগুলো একদম মিনি সাইজ আর মানুষগুলোকে পিপিলিকার মত দেখাচ্ছিল ।’
কথা হল ফান ফেস্টের এক কর্মকর্তার সাথে, তিনি জানালেন এটার মালিক একজন সেনা কর্মকর্তা। এই খেলার আয়োজন করতে কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। বিশেষ ধরনের স্পিডবোট আনতে হয়েছে। বোট চালক বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
প্যারাসেইলিংয়ের আনন্দ উপভোগ করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সৈকতে বিচ বাইক ও স্পিডবোট। এসব নিয়ন্ত্রণে পাশাপাশি প্রশাসনের সহায়তা পেলে প্যারাগ্লাইডিং আর ওয়াটার বাইক চালুরও পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানান।
মহান রাব্বুল-আল-আমিনের দরবারে শুকরিয়া এবং আমার পতি মহাশয়কে ধন্যবাদ আমাকে এরকম একটি সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
আমার স্বামীর হাইট ফোবিয়া থাকার কারনে ও আর প্যারাসেইলিং করলনা।
Comments and suggestion highly accepted
ReplyDelete