ঘরে রসালো মিষ্টি বানানোর সহজ পদ্ধতি
ছানা, গুড়, দুধ সব উপকরণ তো হাতের কাছেই আছে। মিষ্টি কিনে আনতে হবে কেন তাহলে? দেখে নিন https://youtu.be/5rZPVFEjcLM দেওয়া রেসিপিগুলো।
উপকরণ:-
১) দুধ পরিমান মত
২) চিনি পরিমান মত
৩) টকদই পরিমান মত
৪) এলাচ পরিমান মত
৫)পরিমান মত সুজি /ময়দা
প্রণালী :
১) এক লিটার দুধকে জ্বাল দিন যে পর্যন্ত না ফুটতে আরম্ভ করে। আর এই সময় অনবরত নাড়তে থাকুন যাতে হাড়িতে লেগে না যায়।
২) আড়াইশ গ্রাম টকদই একটু চামচ দিয়ে নেড়ে ফেটিয়ে রাখুন। এরপর উতরে ওঠা দুধের সাথে একসাথেই সবটুকু দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৩) এরপর ছানা তৈরি হয়ে গেলে চুলাতে আর জ্বাল দিবেন না। এতে পরবর্তীতে মিষ্টি শক্ত হয়ে যেতে পারে। নামিয়ে একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে রেখে ঝুলিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা খানিক। পানিতে ধুবেন না। তবে লেবু/ভিনেগার দিয়ে যারা করে থাকেন তাদেরকে পানিতে ধুয়ে নিতে হয় গন্ধটা বের হয়ে যাবার জন্য। তাই টকদই দিয়ে করাই ভাল। এতে পরিমাণেও বৃদ্ধি পাবে ও স্বাদটাও পারফেক্ট থাকবে।
৪) আধাঘণ্টা পরে ছানাটিতে এক চামচ ময়দা/ এক চামচ সুজি এবং এক চামচ চিনি সহ মথে নিতে হবে। খুব প্রসার দিয়ে মথবেন না। এতে তেল বের হয়ে আসতে পারে ও মিষ্টি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
৫) দুই কাপ চিনির সাথে চার কাপ পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করুন আর এতে দিয়ে দিন একটি এলাচ। সিরা খুব ঘন হতে হবে না শুধুমাত্র ফুটতে থাকলেই মিষ্টি দেবার জন্য উপযুক্ত হবে।
৬) গোল গোল করে তৈরি করুন আপনার পছন্দের সাইজের মিষ্টির বল। সাধারণত এক লিটার দুধে দশটির মত মিষ্টি হবে যদি নরমাল সেপ দিয়ে থাকেন।
৭) সবগুলো মিষ্টির বল বানানোর পর একসাথে দিয়ে দিন ফুটন্ত সিরার ভিতরে। একটি একটি করে বানিয়ে একটি একটি করে দিবেন না। এতে সবগুলো একসাথে তৈরি হবে না কোনটা কাঁচা থাকতে পারে আবার কোনটা অধিক সিদ্ধ হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
৮) চুলায় অধিক আঁচে দশ মিনিট জ্বাল দিয়ে পরবর্তী বিশ মিনিট মধ্যম আঁচে জ্বাল দিন। এ সময়ে অবশ্যই হাড়িটি ঢেকে নিবেন।
৯) সাত/ আট ঘণ্টা ডুবালে মিষ্টিগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিরা ভিতরে ঢুকে যায়। আর এর আগেও খেতে পারেন গরম গরম পরিবেশন করে।
১০) মিষ্টির সিরা ঠাণ্ডা হলেই রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে আর খেতে পারেন কয়েকদিন পর্যন্ত।
☆☆☆ বাজারে তৈরি মিষ্টিতে থাকে ভেজাল যা খেলে নানাবিধ অসুখ দানা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। তাই হাতেই বানিয়ে ফেলুন নানান রকম মিষ্টি। রসগোল্লা বানানোর সহজ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ঘরে বসেই ছেলেমেয়েদের জন্য মজাদার ও পুষ্টিকর খাবারটি বানানো সম্ভব। রিসিপিটি ভালো লাগলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিতে পারেন, বন্ধুদেরও উপকারে আসবে। ভালো থাকুন।
Comments
Post a Comment